ডেস্ক রিপোর্ট
‘ভিক্ষা যদি করতেই হয়, ঘোড়ায় চড়েই করবো’ এমন একটি প্রবাদ সত্য প্রমাণ করলেন জামালপুরের ফরিদ। শারীরিক প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করেন ঘোড়ার পিঠে চড়ে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী এ মানুষটি সারাদিন ঘোড়ায় চড়ে ঘুরে বেড়ান শহর থেকে গ্রাম। রোজগারও ভালো। ঘোড়া আর সংসার মিলে ভালোই আছেন শখের এ মানুষটি।
সম্প্রতি জামালপুর শহরের দয়াময়ী এলাকায় ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষাবৃত্তি করতে দেখা গেছে। ফরিদের বাড়ি জামালপুর পৌর এলাকায়।
প্রতিবন্ধী ফরিদ বলেন, ১০ বছর আগে বিয়ে করেছি। সেই থেকে ঘোড়ায় চড়ে ভিক্ষা করি। স্ত্রীকে নিয়ে ভালোই চলছে সংসার। গত একমাস আগে ঘোড়া ছাড়া ভিক্ষা করে আমার সারাদিন আয় হতো ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। আর এখন ঘোড়ায় চড়ে সারাদিন ঘুরে ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা আয় হয়।
ঘোড়াটাই তার সন্তান। শেষ বয়সে বাবা-মা যেমন সন্তানদের অবলম্বন ভাবে, ঘোড়াটাও তার কাছে তাই। ঘোড়াটা আছে বলেই ঘরে চুলো জ্বলছে এ মানুষটির সংসারে।